নতুন ভোটার আইডি কার্ড হতে কত দিন লাগে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড হতে কত দিন লাগে! যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে সম্পুর্ণ পোস্ট আপনার জন্য। একজন নতুন ভোটার হিসেবে কৌতহল জাগে, নতুন ভোটার আইডি কার্ড হতে কতদিন লাগে? বা কতদিন লাগে ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেতে। সম্পূর্ণ নিয়ম আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।
বর্তমান সময়ে অনলাইনে এবং প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি সময়ে এলাকা ভিত্তি নতুন ভোটার তালিকা নেওয়া হয়। যাদের বয়স ১৭ এর বেশি হয়েছে তাদেরকে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভোটার তালিকায় তথ্যপ্রধান এবং বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে বলে। কেননা একটি ভোটার আইডি কার্ড আবেদনের সাথে সাথে কিন্তু সেটি পাওয়া যায় না।
ভোটার আইডি কার্ড হতে কত দিন।
আমাদের বাংলাদেশ ১৮-২০ বছর এর এরমধ্যে জন্ম নিবন্ধন এর মাধ্যমে আপনি অনেক কাজ করতে পারবেন। কিন্তু এর পরবর্তী সময় অবশ্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড প্রয়োজন হবে। সেই রকম ভাবে এই সময় আপনি আবেদন করলে, আপনার বাংলাদেশের পরিচয়পত্র তথা স্মার্ট কার্ড হাতে পেতে ১ বচ্ছর বা তার বেশি সময় লাগবে।
এর পূর্বে আপনার সংগ্রহ করতে পারবেন তবে এর জন্য কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড হতে কতদিন লাগে! সাধারণত সকল তথ্য প্রদান করার তিন সপ্তাহ বা ২১দিন এর মধ্যে তথ্যগুলি অনলাইন সার্ভারে যুক্ত করা হয়ে থাকে। এবং কিছু ক্ষেত্রে এক মাস সময় পর্যন্ত লাগতে পারে তথ্য অনলাইনে প্রকাশ করার জন্য। আপনার সকল তথ্য সঠিক থাকলেই অনলাইনে প্রকাশ করা হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও বিভিন্ন তথ্য।
যদি আপনার বয়স ১৬ হয়ে থাকে! এবং এলাকাভিত্তিক ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আবেদন করেন! তাহলে আপনার বয়স ১৮ সম্পূর্ণ হওয়ার পরবর্তী সময় স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে। এর পূর্বে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে না।
আর যদি আপনার সম্পূর্ণ বয়স হয়ে থাকে, এবং সেটি যদি এলাকা ভিত্তিক এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করেন! এ ক্ষেত্রে আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য এবং ডেলিভারি সময় জানিয়ে দিবে। ১০৫ এই নাম্বার থেকে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য।
নতুন এনআইডি অনলাইন কপি কিভাবে পাবো।
যদি আপনার বয়স ১৮ না হয়ে থাকে! এবং জরুরী ভিত্তিক এনআইডি প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে আপনি এনআইডি অনলাইন কপি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। ছবি এবং বায়োমেট্রিক প্রদান করার পরবর্তী ২১ থেকে ৩০ দিন মধ্যে আপনার সকল তথ্য অনলাইন সার্ভারে আপডেট করা হবে। ১৮ এর নিচে বা উপরে যেকোনো ব্যক্তির তথ্য অনলাইন সার্ভারে সময়ের মধ্যে আপলোড করা হয়। তবে অবশ্যই সকল তথ্য যাচাইয়ের পর এনআইডি সার্ভারে যুক্ত করা হয়।
অনেক সময় দেখা যায় এসএমএস আসে না ১০৫ নাম্বার থেকে। এক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই এবং ভয়ের কোন চিন্তা নেই। আপনি অনলাইন সার্ভার থেকে আপনার এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করবেন এবং দেখবেন সেটি তৈরি হয়েছে কিনা।
অনলাইনে স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করা খুব সহজ! শুধুমাত্র ফরম নম্বর ব্যবহার কর অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা NID online copy মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে ডাউনলোড করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। ফরম নাম্বার দিয়ে আপনি https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account এই ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন। এবং পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
নতুন ভোটার এসএমএস না আসলে করণীয়।
অনেকের দেখা যায় নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু কোন এসএমএস আসেনি। এটি দেখা যায় যদি এলাকায় ভিত্তিক গণহারে ভোটার নিবন্ধন করা হয়। কেননা এই সময় অনেক মানুষ একসঙ্গে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করে এবং সকল তথ্য যাচাই করতে এনআইডি সার্ভার বা কর্তৃপক্ষের অনেক সময় লেখা যায়। যার কারনে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এসএমএস আসে না।
এক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই! নতুন ভোটার এসএমএস না আসলে আপনি অনলাইন সার্ভার থেকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের আপডেট জানতে পারবেন। যাদের ভোটার আবেদন করার এক মাস পার হয়ে গেছে এবং ১০৫ নাম্বার থেকে এখনো কোন প্রকার এসএমএস পাননি, তারা অনলাইন সার্ভার ব্যবহার করে, নতুন একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
NIDW ওয়েবসাইটে আপনার পূর্বের কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করুন। মোবাইল নাম্বারটির ওটিপি ব্যবহার করে একাউন্টে যাচাই করুন। এবং এরপর এনআইডি ওয়ালেট অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন সার্ভার থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি বের করতে পারবেন।
এবং এটি যে কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে। অনলাইন কপি অথবা ফর্ম নাম্বার দিয়ে স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করে যদি দেখতে পারেন আপনার তৈরি হয়েছে! তাহলে ইসি অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করবেন। অথবা আপনার এলাকায় যখন ভোটার আইডি কার্ড বিতরণ করা হবে সেই সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে আপনার আইডি কার্ডটি সংগ্রহ করবেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন আমাদের আজকের পোস্টের বিষয়! আপনার যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই কমেন্টে মূল্যবান মতামত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।