বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলোর মধ্যে খুলনা-বেনাপোল রুট একটি প্রধান সংযোগকারী লাইন হিসেবে স্বীকৃত। এই রুটটি বিশেষত ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য এবং যাত্রী পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা জানবো, ২০২৫ সালের নির্ধারিত ট্রেনের সূচি, ভাড়া কত ও স্টপেজ গুলো।
খুলনা-বেনাপোল রুটের রেল সংযোগ
বর্তমানে খুলনা-বেনাপোল রেলপথে যাত্রী পরিবহনের জন্য কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস – ১ (৫৩)/ Commuter Betna Express- 1 (53) ও কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস – ৩ (৯৪)/ Commuter Betna Express- 3 (94) ট্রেনটি নির্ধারিত। এটি একটি আন্তঃনগর ট্রেন, যা আধুনিক এবং আরামদায়ক যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করে।
২০২৫ সালের নির্ধারিত ট্রেন সূচি
নিম্নে এই রুটের নির্ধারিত সময়সূচি প্রদান করা হলো:
ট্রেনের নাম | ছাড়ার সময় | গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় |
---|---|---|
কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস – ১ (৫৩) | সকাল ৬:১৫ মিনিট | সকাল ৮:৫৫ মিনিট |
কমিউটার বেতনা এক্সপ্রেস – ৩ (৯৪) | দুপুর ১২:৪০ মিনিট | দুপুর ২:৫০ মিনিট |
ট্রেন ভাড়ার কাঠামো (২০২৫)
রেলভাড়ার নির্ধারিত হার নিম্নরূপ:
শ্রেণী | নির্ধারিত ভাড়া (টাকা) |
---|---|
শোভন | ১০০ |
শোভন চেয়ার | ১২০ |
প্রথম শ্রেণী | ১৬০ |
এসি চেয়ার | ২০০ |
এসি কেবিন | ৩০০ |
স্টপেজ ও স্টেশনগুলো
বেনাপোল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে নিম্নলিখিত স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি করে:
- বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন
- নাভারন রেলওয়ে স্টেশন
- ঝিকরগাছা রেলওয়ে স্টেশন
- যশোর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- রূপদিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- সিঙ্গিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- চেঙ্গুটিয়া রেলওয়ে স্টেশন
- নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন
- বেজেরডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন
- ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন
- দৌলতপুর রেলওয়ে স্টেশন
- দৌলতপুর কলেজ রেলওয়ে স্টেশন
- খুলনা জংশন রেলওয়ে স্টেশন।
রেলভ্রমণের তুলনামূলক সুবিধা
- আরামদায়ক যাত্রা: ট্রেন পরিবহন তুলনামূলকভাবে প্রশস্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
- সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্রমণ: সড়ক পরিবহনের তুলনায় ট্রেনের ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম।
- নিয়মিত সময়সীমা: ট্রেন নির্ধারিত সময়সূচি মেনে চলে, যা যাত্রীদের নির্ভরযোগ্যতার নিশ্চয়তা দেয়।
ট্রেনে যাত্রার পূর্বপ্রস্তুতি
- আগাম টিকিট সংরক্ষণ: বিশেষত ছুটির দিনে আসন সংরক্ষণ নিশ্চিত করা জরুরি।
- পরিচয়পত্র বহন: জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট সঙ্গে রাখলে নিরাপদ যাত্রার সুবিধা নিশ্চিত হয়।
- ব্যক্তিগত নিরাপত্তা: মূল্যবান সামগ্রী নিজ দায়িত্বে সংরক্ষণ করা আবশ্যক।
অনলাইন টিকিট সংরক্ষণের ধাপসমূহ
১. eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। ২. অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন বা লগইন করুন। ৩. গন্তব্য ও ভ্রমণের তারিখ নির্বাচন করুন। ৪. পছন্দনীয় ট্রেন ও আসন নির্ধারণ করুন। ৫. অনলাইন পেমেন্ট (বিকাশ, রকেট, নগদ) সম্পন্ন করুন। ৬. টিকিট ডাউনলোড করুন ও প্রিন্ট করুন।
শেষ কথা
খুলনা-বেনাপোল রুটে ট্রেন যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রবন্ধে ২০২৫ সালের নির্ধারিত সময়সূচি ও ভাড়া সম্পর্কে সকল তথ্য দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে অনলাইন টিকিট সংরক্ষণ ব্যবস্থাও সুপরিকল্পিত। নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও সময়নিষ্ঠ ট্রেন যাত্রার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা নেওয়া বাঞ্ছনীয়।