আমরা এই পোস্ট হতে জানার চেষ্টা করবো, কোন ভাতা কত টাকা দিয়ে থাকেন বাংলাদেশ সরকার। যদি আপনি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা এই পোস্ট হইতে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশে অনেক ধরনের ভাতা বা পেনসন প্রদান করা হয়ে থাকে! বয়স্ক ভাতা আবেদন করেছেন কিন্তু এখনো টাকা পাননি তারা দেখে নিতে পারেন কত টাকা সামনে পাবেন। ১ বছরে ৪ বার ভাতা ডিসবার্সমেন্ট করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি ৩ মাস পর পর এই ভাতা দিয়ে থাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে।
ভাতা কত টাকা ২০২৫
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের ভাতা সরকার দিয়ে থাকে! যেমন: বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ আরো অন্যান্য। এই সমস্ত ভাতা প্রতি ৩ মাস পর পর প্রদান করে থাকে। অনলাইনে ভাতা আবেদন ওয়েবসাইট, https://mis.bhata.gov.bd এখানে সকল ধরনের ভাতা আবেদন করা যায়।
আমরা জানবো, কোন ভাতা কত টাকা দিয়ে থাকে বাংলাদেশ সরকার। বর্তমান সময়ে অনলাইনে সকল ধরনের ভাতা আবেদন করা যায়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং নির্দিষ্ট শর্ত মেনে আপনি অনলাইনে ভাতা আবেদন করতে পারবেন। যদি সকল তথ্য সঠিক থাকে, তাহলে আপনার আবেদনটি গ্রহণ করা হবে। এবং, পরবর্তী হইতে আপনাকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতি বছরে ৪ বার ভাতার টাকা দেওয়া হবে।
ভাতার টাকা কিসে দিবে? বিকাশ/নগদ এর মাধ্যমে বর্তমানে টাকা দেওয়া হয়। যদিও পূর্বে অন্য মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাতার টাকা দেওয়া হয়তো। কিন্তূ বর্তমানে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয়, সরাসরি আপনি টাকা আপনার মোবাইলে নিতে পারবেন। এবং, মোবাইল ব্যাংকিং এর এজেন্ট হইতে আপনার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন সহজেই।
বয়স্ক ভাতা কত টাকা ২০২৫
বয়স্ক ভাতা প্রতি মাসে ৬০০ টাকা হারে ৩ মাসে মোট ১৮০০ টাকা একবারে প্রদান করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, একমাসের জন্য ছয়’শো টাকা করে সর্বনিম্ন ৩ মাসের টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। পূর্বে ৫০০ টাকা ছিলো, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে টাকার হার বৃদ্ধি করা হয়েছে ১০০ টাকা, বর্তমানে ৬০০ টাকা মাস হিসেবে বয়স্ক ভাতার টাকা দেওয়া হচ্ছে।
এখন বয়স্ক ভাতা ভোগকারী ব্যক্তি ১ বছরে ৭,২০০ টাকা ভোগ করবে। এটি আপনাদের মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে তিনমাস পরপর প্রদান করা হবে। অনেক সময় দেখা যায় কি তোর বিলম্বের কারণে সময় হওয়ার পরও টাকা আসতেছে না! সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। এবং আপনি যে নাম্বারে অর্ধ গ্রহন করবে সেই নাম্বারটি নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং এর থাকতে হবে এবং সচল থাকতে হবে।
বয়স্ক ভাতার টাকা এখনো আসেনি: যদি আপনার বয়স্ক ভাতার টাকা সময় পার হওয়ার পরেও না আসে! তাহলে মোবাইল এবং ব্যাংকিং সিস্টেম চেক করে দেখেন। অনেক সময় বিকাশ/নগদ একাউন্ট সমস্যাজনিত কারণে আসে না। তাই একাউন্ট সচল কিনা সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন।
বিধবা ভাতা কত টাকা ২০২৫
বর্তমানে ২৪.৭৫ লাখ থেকে ২৫.৭৫ লাখ বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদের কে বিধবা ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। পূর্বে, ৫০০ টাকা হারে প্রতি মাসে দেওয়া হতো। বর্তমানে ২০২৩-২০২৪ বাজেট ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ৫৫০ টাকা করা হয়েছে। ৩ মাসে মোট ১৬৫০ টাকা প্রদান করা হয় বিধবা/ স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাদেরকে।
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই টাকা গুলি গ্রহণ করা যায়। অন্যান্য ভাতার মধ্যে আপনি বিধবা ভাতা তিন মাস পর পর গ্রহণ করতে পারবেন। একজন বিধবা মহিলা ১ বছরে সর্বমোট ৬,৬০০ টাকা সরকারি ভাতা পেয়ে থাকেন।
অবশ্যই আপনার মোবাইল নম্বরটি এবং মোবাইল ব্যাংকিং সফল থাকতে হবে। সাধারণত বর্তমান সময়ে এই কারণগুলোর জন্যই অনেকে টাকা আসতেছে না। যদি বিধবা টাকা না আসে তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরটি চেক করবেন। এবং সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর মেম্বার এর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
প্রতিবন্ধী ভাতা কত টাকা ২০২৫
প্রতিবন্ধী ভাতা প্রতি মাসে ৮৫০ টাকা করে ৩ মাস পর পর সর্বমোট ২৫৫০ টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিবন্ধী ভাতা অন্যান্য ভাতার চেয়ে বেশি। এটিও আপনাকে তিন মাস পর পর প্রদান করা হবে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে। ৮৫০ টাকা এক মাসের জন্য এবং সর্বনিম্ন তিন মাস পর পর আপনি এই টাকা পাবেন।
২০০৫ সালে প্রতিবন্ধী ভাতা ২০০ টাকা, যা বর্তমানে ৮৫০ টাকা করা হয়েছে। এবং আশা করা যায় সামনের বাজেট এবং সময় প্রেক্ষে এটি আরো বৃদ্ধি পাবে। অবশ্যই আপনার মোবাইল নাম্বার এবং ব্যাংকিং পরিষেবা সচল থাকতে হবে। অন্যথায় আপনার নম্বরে টাকা নাও ঢুকতে পারে।
১ বছরে একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরকারি ভাতা পাবেন, ১০ হাজার ২০০ টাকা। সর্বনিম্ন ৩ মাস পর পর আপনি এই টাকা ভোগ করতে পারবেন। এবং এক বছর সর্বমোট চারবার এই টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। চার কিস্তির মধ্যে আপনি অর্থবছরের সমস্ত টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিতে পারবেন।
মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা ২০২৫
মাতৃত্বকালীন ভাতা বা গর্ভবতীদের জন্য সরকারি ভাতার ব্যবস্থা করা রয়েছে। সর্বমোট ৪ কিস্তিতে মাতৃকালীন ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে ৬ মাস পর পর ৪৮০০ টাকা ২৪ মাসে মোট ৪ বার প্রদান করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ একজন মাতৃকালীন ব্যক্তি সর্বমোট চারবার সরকারি ভাতা গ্রহণ করতে পারবেন এবং এটির সময়সীমা হল ২ বছর বা ২৪ মাস।
এটি আবেদন করতে আপনাকে অবশ্যই অনলাইন এবং অফলাইনে কঠোরভাবে পরিশ্রম করতে হবে। এবং ছয় মাসের নিচে কিন্তু এই ভাতা প্রদান করা হয় না। ভাতা আবেদনের সময় অবশ্যই পাঁচ মাসের গর্ভবতী হতে হবে এবং পরবর্তী আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হলে ছয় মাস অন্তর অন্তর প্রতি মাস ৮০০ টাকা করে মোট ৪৮০০ টাকা দেওয়া হবে।
১ বছরে ৯ হাজার ৬০০ টাকা এবং ২ বছরে তথ্য ২৪ মাসে সর্বমোট, ১৯,২০০ টাকা দেওয়া হবে। যদি আপনার আবেদন করার সময় হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আবেদন করার চেষ্টা করবেন। কিভাবে গর্ভবতী ভাতা বা মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন করবেন এই বিষয়ে আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল প্রকাশ হবে।
আরোও পড়ুন: অনলাইনে ডাক্তার রেজিস্ট্রেশন নম্বর চেক
আশা করি বুঝতে পেরেছেন, যদি কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই কমেন্টে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সবাই ভালো থাকলে সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের সঙ্গে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।