মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে জানেন কি ? মেডিকেল ভিসা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিসা যেটি একটি দেশের নাগরিকদের অন্য দেশে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ঠিক ততটাও এগিয়ে যেতে পারেনি। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। অন্যান্য সকল দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশের নাগরিকদের অন্য দেশে চিকিৎসাসেবা লাভ করার জন্য প্রয়োজন হয় মেডিকেল ভিসা।তবে মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে জানেন কি ? যদি মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে ও মেডিকেল ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
মেডিকেল ভিসা কি
মেডিকেল ভিসা হল এমন একটি বিশেষ ধরনের ভিসা যা একজন নাগরিককে তার নিজ দেশের বাইরে চিকিৎসাসেবা লাভের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের অনুমতি দিয়ে থাকে। তবে মেডিকেল ভিসা বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবার জন্য তৈরি ও মেডিকেল ভিসা পেতে হলে বেশ কিছু অতি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়।
ই-মেডিকেল ভিসা কি
ই-মেডিকেল ভিসা হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন ভিসা যাকে ইলেকট্রনিক ভিসা হিসেবে সম্বোধন করা হয়। ই-মেডিকেল ভিসার মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকরা দেশে প্রবেশ করতে পারেন ও ই-মেডিকেল ভিসা সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত বৈধ। ৬০ দিন পর্যন্ত ই-মেডিকেল ভিসা ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবা লাভ করা যায়। বর্তমানে ভারতের সরকার আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে ই-মেডিকেল ভিসা অনলাইনে জারি করেছেন এবং পরিচালনা করে থাকেন। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে এ সম্পর্কে।
মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে
মেডিকেল ভিসা করতে বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এ সকল ডকুমেন্টস এর মধ্যে রয়েছে:
- পাসপোর্ট: অবশ্যই উক্ত নাগরিকের বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে।
- ছবি: সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ৪-৬ কপি রঙিন ছবি প্রয়োজন হবে। ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের হতে হবে। ছবির আকার অবশ্যই ২ ইঞ্চি X ২ ইঞ্চি হতে হবে।
- মেডিকেল রিপোর্ট: রোগীর শারীরিক অবস্থা কেমন ও তিনি কেন অন্য দেশ থেকে চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন তার রিপোর্ট (মেডিকেল কাগজপত্র) প্রদান করতে হবে।
- অনলাইন ভিসা আবেদনের কপি প্রদান করতে হবে।
- ভিসার ফি এর পেমেন্ট স্লিপ প্রদান করতে হবে।
- আর্থিক সচ্ছলতা: আর্থিক সচলতা প্রমাণের জন্য গত ৩ মাস বা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট করতে হবে। চিকিৎসার জন্য যে সম্ভাব্য খরচ প্রয়োজন হবে তার অর্থনৈতিক সামর্থ্য দেখাতে হবে ব্যাংক স্টেটমেন্টে।
- ডাক্তারের প্রশংসাপত্র ও হাসপাতালের আমন্ত্রণপত্র : পূর্বে রোগী যে ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন তার নিকট হতে একটি রেফারেন্স লেটার নিতে হবে ও আর যে দেশে স্বীকৃত হাসপাতালে রোগী ডাক্তার দেখাতে চাচ্ছেন উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসার অবস্থা চিকিৎসার পরিকল্পনার বিশদ বিবরণ উল্লেখ করতে হবে যাকে মেডিকেল ফিসা আমন্ত্রণ পএ লেটার বলা হয়।
- সচল মোবাইল নম্বর: একটি সচল মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে।
- জাতীয় পরিচয়পএ: জাতীয় পরিচয় পএের ফটোকপি প্রদান করতে হবে যা পাসপোর্টের সাথে সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। তবে পাসপোর্ট যদি জন্ম নিবন্ধন এর মাধ্যমে করা হয় সেক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন এর স্পষ্ট ফটোকপি প্রদান করতে হবে
তবে এ সকল কাগজপত্র ছাড়াও মেডিকেল ভিসা করতে আরো বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে দেশ ভেদে।
ভিসার কাগজ সাজানোর নিয়ম ২০২৫
মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে এটি জানার পর আপনার প্রথম দায়িত্ব ভিসার কাগজ সঠিকভাবে সাজানো। সাধারণত ভিসার আবেদন করার সময় ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করার সময় যদি ভিসা কাগজপত্র সঠিকভাবে সাজানো হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ভিসার অনুমোদন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে ভিসার কাগজ যেভাবে সাজানো উচিত সেটি হলো:
- ভিসার আবেদন পএ ও পেমেন্ট এর স্লিপ
- পাসপোর্ট এর কপি (প্রথম ও শেষ পাতার ছবি/info পেজের ছবি)
- ছবি (সদ্য তলা রঙিন ছবি) অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছবি হতে হবে। ছবি আকার ২ ইঞ্চি x ২ ইঞ্চি। চশমা পড়া, কান ঢাকা থাকা যাবে না। অবশ্যই অনলাইনে যে ছবিটি আপনি সাবমিট করেছেন, উক্ত ছবিটি ল্যাব প্রিন্ট করে আবেদনপত্রে আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রদান করতে হবে। তবে পাসপোর্ট করার সময় যদি আপনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করে থাকেন সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাগজ হিসেবে যার জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- যে কারণে আপনি ভিসা নিতে চাচ্ছেন তার প্রমাণস্বরূপ বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রদান করুন।
- গত ৩ মাস অথবা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে আপনার সচ্ছলতা প্রমাণের জন্য ( ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা)।
- আবেদনকারী যদি সরকারি চাকরি বা বেসরকারি চাকরিজীবী হয় তাহলে NOC কপি, ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স, শিক্ষার্থী হলে প্রত্যয়ন পত্র বা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে।
- কোভিট-১৯ এর টিকার কপি প্রদান করতে হবে।
- পানি বিল বা বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিল এর ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
উপরোক্ত নিয়মে যদি আপনি ভিসার কাগজপত্র সাজিয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনার ভিসাটি অনুমোদন হবার সম্ভাবনায় রয়েছে। তবে আপনি যদি এলোমেলো ভাবে ভিসার ডকুমেন্ট সাজিয়ে থাকেন ও যদি সকল কাগজপত্র স্পষ্ট হয় তাহলেও আপনি অনুমোদন পাবেন। সেহেতু স্পষ্ট ডকুমেন্টস (কাগজপএ) প্রদান করার সর্বদা চেষ্টা করবেন।
মেডিকেল ভিসা কতদিনে পাওয়া যায়
মেডিকেল ভিসা কতদিনে পাওয়া যাবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে উক্ত দেশের দূতাবাস বা কনসুলেট এর কাজের ধরন এবং আপনার প্রদানকৃত কাগজপত্রের উপর। যদি নাগরিকের সকল তথ্য ও সঠিক থাকে তাহলে খুব দ্রুত মেডিকেল ভিসা প্রদান করা হয়। সকল ধরনের ভিসার থেকে মেডিকেল ভিসা দ্রুত প্রদান করা হয়। বিশেষ প্রয়োজনে অনেক দেশে যেমন ভারত, সিঙ্গাপুর জরুরী মেডিকেল ভিসা দ্রুত প্রসেসিং করে থাকে। রোগীর অবস্থা দ্রুত হলে সাধারণত ৬ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেডিকেলে ভিসা পাওয়া যায়।
তবে মেডিকেল ভিসা পেতে ,সর্বনিম্ন ১ কর্ম দিবস থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কর্ম দিবস পর্যন্ত সময় লাগে।
মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসা
মেডিকেল এটেনডেন্ট হলো একটি বিশেষ ভিসা যাকে রোগীর সহকারী বা রোগীর সঙ্গীর ভিসা বলা হয়। রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা লাভ করানোর জন্য রোগীর সাথে ১ জন তবে সর্বাধিক হিসেবে ২ জন সদস্যকে (অবশ্যই পরিবারের সদস্য হতে হবে) অনুমতি প্রদান করে। মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসার ভূমিকা হলো রোগীকে চিকিৎসাকালীন সময়ে সাহায্য করা।
তবে মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এসকল নিয়মের মধ্যে রয়েছে:
- রোগীর কেবল নিকটতম আত্মীয় বা পরিবারের সদস্য মেডিকেল এটেনডেন্ট এর আবেদন করতে পারবেন। নিকটতম সদস্যদের মধ্যে যারা রয়েছে:- মা,বাবা,ভাই,বোন,স্ত্রী, স্বামী,ছেলে,মেয়ে।
- মেডিকেল এটেনডেন্ট সর্বোচ্চ হলে ২ জন পেতে পারেন তবে সেটি বিবেচনা সাপেক্ষে পেয়ে থাকেন। সাধারণত ১ জনকে মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসা প্রদান করা হয়।
- মেডিকেল এটেনডেন্ট ভিসার জন্য বৈধ পাসপোর্ট করতে হবে যার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাসের বেশি থাকতে হবে।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রদান করতে হবে।
- রোগীর মেডিকেল ভিসার কপি প্রদান করতে হবে।
- রোগীর সাথে সাথে কি সম্পর্ক রয়েছে তার প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রদান করতে হবে।
- রোগীকে যে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করাবেন তার আমন্ত্রণ পএ প্রদান করতে হবে।
মেডিকেল ভিসার কাগজপত্র সাজানোর নিয়ম
মেডিকেল ভিসার কাগজপত্র যদি একটু সাজানো গোছানো হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে মেডিকেল ভিসাটি খুব দ্রুত অনুমোদন হওয়ার থাকে এক্ষেত্রে যে সকল ডকুমেন্টস আপনার সাজানো প্রয়োজন তাহলো:
- আপনার পাসপোর্ট এর ইনফো পেজের কপি প্রদান করতে হবে।
- অনলাইন ভিসা আবেদনের কপি প্রদান করতে হবে।
- অনলাইনে ভিসা আবেদনের জন্য যে পেমেন্ট করেছেন তার স্লিপ প্রদান করতে হবে।
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে।
- পানি বিল বা বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিল এর স্পষ্ট ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রদান করতে হবে। অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউণ্ড হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রদান করতে হবে। তবে পাসপোর্ট করার সময় যদি জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে থাকেন, সেক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন এর স্পষ্ট ফটোকপি প্রদান করতে হবে।
- রোগীর বর্তমান অবস্থার রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
- রোগীকে নিয়মিত যে ডাক্তার আর দেখানো হয় তার রেফারেন্স লেটার প্রয়োজন হবে।
- উক্ত যে দেশে রোগীকে চিকিৎসাসেবা আর প্রদান করা হবে উক্ত দেশে যে হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা করা হবে তার তথ্য উপস্থাপন করতে হবে বা আমন্ত্রণ পত্র প্রদান করতে হবে।
- আর্থিক সচ্ছলতা প্রমাণের জন্য গত ৩ মাস অথবা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে। তবে রোগীর চিকিৎসার জন্য যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হবে তার প্রমাণ আজ স্বরূপ আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দেখাতে হবে।
মেডিকেল ভিসার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রদান করুন না কেন সকল ডকুমেন্ট অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে প্রয়োজনে সকল ডকুমেন্টের আসল কপি নিজের সাথে রাখুন।
আরো জানতে পারেন: মালয়েশিয়া মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম।
মেডিকেল ভিসার খরচ কত টাকা
মেডিকেল ভিসার খরচ কত টাকা? সেটির সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন দেশের মেডিকেল ভিসা করতে চান। যদি আপনি ভারতের জন্য মেডিকেল ভিসা করতে চান সেক্ষেত্রে বর্তমানে আপনাকে ভারতীয় দূতাবাসে ৮২৪ টাকা ফি হিসেবে প্রদান করতে হবে। এই ৮২৪ টাকা হলো ভারতীয় মেডিকেল ভিসার খরচ।
মেডিকেল ভিসা সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ
মেডিকেল বিশেষ সম্পর্কিত বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে এ সকল প্রশ্ন কি করে থাকেন। তবে এ সকল প্রশ্নের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
আমেরিকায় মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে কি?
হ্যাঁ,যাবে তবে আমেরিকায় মেডিকেল ভিসা পাওয়ার জন্য সকল ডকুমেন্ট আমেরিকার দূতাবাসে প্রদান করতে হবে ও ফ্রি প্রদান করতে হবে।
ভারতীয় মেডিকেল ভিসায় সর্বোচ্চ কত টাকা খরচ হয়?
বর্তমানে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য ভারতীয় দূতাবাসের সর্বমোট ৮২৪ টাকা প্রদান করতে হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার অনুমোদন পেতে সর্বোচ্চ কত দিন সময় লাগে?
সাধারণত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার অনুমোদন পাওয়া যায় তবে সর্বোচ্চ এক কর্ম দিবস থেকে আপনারা কর্ম দিবসের মধ্যে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পাওয়া যায়।
বিশেষ কথা
মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে এটি জানার পর যে সকল কাগজপএ দূতাবাসে প্রদান করবেন তা অবশ্যই স্পষ্ট হতে হবে। অস্পষ্ট কাগজপত্রের কারণে বেশিরভাগ মেডিকেল ভিসার অনুমোদন হয়ে থাকে না। প্রয়োজনে আসল কপি নিজের কাছে রাখুন।
শেষ কথা
প্রত্যাশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে, মেডিকেল ভিসা করতে কি কি লাগে ও মেডিকেল ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি। মেডিকেল বিশেষ সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে আপনি নির্দ্বিধায় আমাদের জানাতে পারেন।